ছাতকে রাকিদ আলী হত্যা মামলার আসামির একটি ঘরে আগুন দেয়ার অভিযোগ উঠেছে। উপজেলার চরমহল্লা ইউপির কামরাঙ্গীচর গ্রামে এঘটনা ঘটে। হত্যা মামলায় লোকজন পলাতক থাকার সূযোগে তাদের বাড়ি ঘরে আগুন ও লুঠপাটের ঘটনায় বাদি বশির উদ্দিন পক্ষের বিরুদ্ধে আসামি পক্ষের আনীত অভিযোগকে পুলিশ রহস্যজনক বলে দাবি করছে। মামলার প্রধান আসামি এখলাছ আলীর বোন মনোয়ারা বেগম স্থানীয় সাংবাদিকদের জানান, গত ৩মার্চ আসমি এখলাছ আলীও আনোয়ারা বেগমের ২টি ঘরে লুঠপাট চালিয়ে ধান, চাল, গরু, ঘরের টিন, ট্রাক্টর মেশিন, আলমিরা, শোকেস, কাপড়-চোপড়, আসবাব পত্র, ফার্নিচারসহ প্রায় ৩লক্ষাধিক টাকার মালামাল লুট করা হয়। এভাবে গত ৪মাার্চ রাতে এখলাছ আলীর একটি বাংলা ঘর আগুনে পুড়িয়েও ইয়াকুব আলীর নির্মানাধীন ঘর ভেঙ্গে ফেলাসহ জমির ফসল নষ্ট করার অভিযোগ করা হয়। এব্যাপারে রাকিদ আলী হত্যা মামলার বাদি বশির উদ্দিন তার বিরুদ্ধে আনীত অভিযোগ অস্বীকার করে বলেন, হত্যা মামলা ভিন্ন খাতে প্রবাহের লক্ষ্যে আসামিরা নানা ষড়যন্ত্রে লিপ্ত রয়েছে। মামলার তদন্ত কর্মকর্তা এসআই আবু আফসার ভূঁইয়া বলেন, ঘর পুড়ার বিষয়টি রহস্য জনক। এখনো থানায় এব্যাপারে কোন লিখিত অভিযোগ দেয়া হয়নি। অভিযোগ পেলে তদন্ত সাপেক্ষে আইনগত ব্যবস্থা নেয়া হবে। উল্লেখ্য যে, গত ২ফেব্রুয়ারি কামরাঙ্গীচর গ্রামে ভূমি নিয়ে বিরোধে প্রতিপক্ষের হামলায় কলমধর আলীর পুত্র রাকিদ আলী গুরুতর আহত হলে চিকিৎসাধিন অবস্থায় একমাস পর ২মার্চ সিলেট ওসমানী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে মারা যান। এতে তার ভাই বশির উদ্দিন বাদি হয়ে একই গ্রামের এখলাছ আলীসহ ৭জনকে আসামি করে ছাতক থানায় মাামলা (নং-৩ (৩) ২০১৭ইং) দায়ের করা হয়।